জাতীয়

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষকদের দেওয়া অর্থ সঠিক হাতে পৌঁছাবে তো?

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হতে চলেছে। এ নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সারাদেশের মানুষ।
করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দিনমজুর অসহায় মানুষজন খাদ্যাভাবে থাকতে হচ্ছে বা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হত দরিদ্র মানুষদের মত নিন্ম আয়ের মানুষরাও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়বে। দরিদ্র মানুষদের পুনর্বাসন এবং সমস্যা মোকাবেলায় সরকার নানামুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকারের সকল সিদ্ধান্তের সাথে তাল মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষক কর্মচারীদের এক দিনের বেতন কর্তন করে ব্যাংকে জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে।

শিক্ষক মহলে বিষয়টি সাদরে গৃহীত হলেও নানা প্রশ্ন মনে দানা বাঁধছে সকলের। বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা সকলেরই জানা। প্রশাসনের সকল স্তরের ইট বালু সিমেন্ট পর্যন্ত টাকার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে।

সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সকল বরাদ্দ সাধারণ জনগণ পর্যন্ত আসতে ১০০ ভাগ থেকে দুই ভাগে এসে পৌঁছায়।

এই বিষয়টি সকলের নখদর্পণে থাকলেও কেউই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেন না। কারণ বলেও কোন লাভ নেই।

বাংলাদেশ করোনা ছড়ানোর পিছনেও কিছু দুর্নীতিবাজ সুবিধা সুবিধাবাদী লোকের কারণে বাংলাদেশে করোনা বিস্তার লাভ করছে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন।

এয়ারপোর্টে মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার বিনিময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে করা টেস্ট করা ছাড়াই দেশে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।

এগুলো নিয়ে নানা পত্রিকায় টিভি-সংবাদে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়, হচ্ছে।

কিন্তু কারো কিছু করার নেই এই বিষয়ে, কারণ আমাদের ডিএনএ তে সমস্যা আছে। আমরা নিজেকে চিনি বেশি। নিজে খেয়ে বেঁচে থাকতে পারলেই আমরা জীবনকে সার্থক মনে করি।

দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির কারণে চরম সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।

এখন বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীদের একদিনের বেতন দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

একদিনের বেতন দিতে শিক্ষক-কর্মচারীর কোন রকমের আপত্তি নেই। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হলো এই দুর্নীতিবাজদের শহরে সঠিকভাবে পৌঁছাবে ত্রাণের টাকা সকলের হাতে? কত পারসেন্ট পাবে যাদের জন্য টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।

উত্তরটা যদিও সকলের জানা! কিন্তু কেউই বলবেনা আসল কথা।

প্রশাসনিক দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তারা কি এখন দুর্নীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে পারবে এই বিষয়টি এখন সকলের মনে।

শিক্ষকদের একদিনের কেটে নেওয়া বেতন শিক্ষকদের দায়িত্বে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হলে মনে হয় সেটি সাধারণ জনগণের জন্য অনেক বেশি মঙ্গলের হত।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক ভাবে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছানো কতটুকু সফলতা পাবে সেটি নিয়ে উদ্বেগ সবারই।

তবুও সরকারের সকল সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা চান, তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সঠিকভাবে অসহায় নিপীড়িত মানুষের কাছে পৌঁছে যাক।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ